ডাঃ অরুণ চট্টোপাধ্যায়ের গল্প--
নিয়ন্ত্রণ
মধুছন্দা মিষ্টি হেসে বলল, হাই!
যদিও বেশ কিছুদিন পরে দেখা তবু দিগন্ত চিনতে পারল তাকে। এ হচ্ছে স্বাগতর সুন্দরী বৌ। অসম্ভব সুন্দরী। চোখ। মুখ, কান, নাক, ঠোঁট, গাল, গলা, চিবুক চট,সব কিছুর বর্ণনা দিতে গিয়ে ক্লান্ত হয়ে বলতে হয় দূর তার থেকে চুপ করে শুধু দেখে যাওয়াই ভাল। দেখতে গিয়েও চোখের পলক পড়ে না। নিশ্বাস পর্যন্ত যেন ভুলে যায় ফেলতে।
দিগন্তর মনে হয় এতদিনে হয়ত বার্বির থেকেও সুন্দর পুতুল বেরিয়ে গেছে যেগুলোর তুলনা একমাত্র মধুছন্দার সঙ্গেই করা যায়। মধুছন্দাকেও অমন একটা নিখুঁত ছাঁচে ঢেলে বানানো হয়েছে এ বিশ্বাস শুধু দিগন্ত বা অন্য পুরুষ তো বটেই হয়ত এ বিশ্বাস মধুছন্দার নিজেরও আছে। তাই তার প্রতিটি পদক্ষেপ, চলার ছন্দ এমন কি ঠোঁটের হাসিটা পর্যন্ত বোধহয় ঐ বার্বির ছাঁচে বাঁধা।
-হেলো। সামান্য হেসে কথাটা বলেই দ্রুত পা চালাবার চেষ্টা করল দিগন্ত। কিন্তু মধুছন্দা তার বিলোল কটাক্ষে আটকে দিল। মধুর হাসি বজায় রেখে বলল, ম্যাডামকে নিয়ে কোথাও গিয়েছিলেন বোধহয়?
খুব মুশকিলে পড়ল দিগন্ত। একটা সুন্দরী মেয়ের সঙ্গে কথা বলতে মন চাইছে কিন্তু ওদিকে
শ্রেয়া অনেক সামনে এগিয়ে গেছে। এখন কথা বলতে গেলে আরও দেরি হয়ে যাবে। খুব সন্দেহ করবে শ্রেয়া।
--হ্যাঁ হ্যাঁ। ওই একটু—
বলে তাড়াতাড়ি পা চালাল দিগন্ত।
তার গমন পথের দিকে তাকিয়ে বাঁকা হাসি হাসল মধুছন্দা। বলল, বাবা আচ্ছা তাড়া তো আপনার।
বাড়ির কাছে পৌঁছতেই শ্রেয়া ভ্রূ কোঁচকাল, আবার গল্পে মেতে উঠেছিলে বুঝি মেয়েটার সঙ্গে?
-মেয়েটা? কোনও মেয়েটা?
-আর ন্যাকামো করতে হবে না গো। মেয়ে বলতে আবার কটা মেয়ে গেল এখান দিয়ে শুনি? আর গেলেও অমন ডানাকাটা পরী ক’টা গেল? আর মেয়েটাও হচ্ছে বটে বাবা। বাঁকা চোখে ছাড়া সোজা চোখে তাকাতেই শিখল না কোনোদিন?
মরিয়া হয়ে উঠল দিগন্ত। সুন্দরী মহিলার নামে কেউ কিছু বললে তার বড্ড রাগ হয়। সে বলে উঠল, এ তোমার জেলাসি শ্রেয়া। একটা সুন্দর ফুলের দিকে মানুষ কেমন ঝামড়ে পড়ে আর সুন্দরী একটা মেয়ে-
কথার শেষ দিকটা মিইয়ে গেল তার। সুরটাও কেমন নেতিয়ে পড়ল। শ্রেয়া ঢুকে পড়েছে ঘরে। বলল, সুন্দর ফুল আর সুন্দরী মেয়ের মধ্যে ফারাকটা পুরুষগুলো বোঝে কম। আমরা মেয়ে হয়ে আর একটা মেয়েকে যত বুঝি তোমরা তার কণামাত্রও বোঝ না।
শ্রেয়ার কথায় মন একটু খারাপ হয়ে গেল দিগন্তের। মনে মনে খুব রাগও হচ্ছে শ্রেয়ার ওপর। । সে চুপ করে চায়ের কাপে চুমুক দিতে লাগল। মেয়েদের ওপর মেয়েদেরই সবচেয়ে বেশি রাগ হয়। এমন রাগ পুরুষদের ওপর পুরুষদের সচরাচর দেখা যায় না।
সেকেন্ড স্যাটার ডে অফিস ছুটি থাকে। দুজনে ডাক্তার দেখাতে যাওয়া হয়েছিল। শ্রেয়ার জন্যেই। বারটার মধ্যেই ফিরেছে। বাস থেকে নেমে দুজনে হাঁটতে লেগেছে। রিক্সা বা টোটোর মত দূরত্ব নয়।
উল্টো দিক দিয়ে আসছিল মধুছন্দা। এ একটা গানের স্কুল চালায়। এখন গান শেখাতে যাবে। একসঙ্গে নামলেও আগে আগে এগোচ্ছিল শ্রেয়া। তাকে আবার খাবার দাবার গুছিয়ে দিতে হবে। মেয়েটা একা আছে। রান্না যদিও কিছু করা আছে কিন্তু বাকি কিছু করতে হবে।
মধুছন্দার চোখে প্রথমেই পড়ল শ্রেয়া। বেশ মিষ্টি করে হেসেছিল মধুছন্দা। কিন্তু শ্রেয়া তেমন প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারে নি। সামান্য একটু হাসির রেখা মাত্র। একে তো তাড়া আছে তাতে আবার সুন্দরী মেয়েটার সঙ্গে দেখা। পেছনে আসা দিগন্ত নিশ্চয় ঢলে পড়বে।
রাগে তার গা-পিত্তি জ্বলতে লাগল আর তাই তার গতি আরও বেড়ে গেল। বাড়িতে এসে চটিটা শুধু খুলেই বাথরুমে দৌড়। এখুনি বেশ কয়েক বালতি ঠান্ডা জল গায়ে না ঢালতে পারলে ঠান্ডা হবে না শরীর।
বাথরুম থেকে ফিরে আবার আগে দিগন্তর জন্যে চায়ের জল বসাতে হল। সে আবার বাইরে থেকে এসে চা না খেয়ে থাকতে পারে না। চায়ে চুমুক দিয়ে শ্রেয়ার সঙ্গে কথা বলছিল বটে তবে তা নিতান্তই অন্যমনস্ক ভাবে। সে শুধু ভাবছিল মধুছন্দার কথা। এত সুন্দর দেখতে মেয়েটার গানের গলাও নিশ্চয় খুব সুন্দর হবে। গলা দিয়েও মধু ঝরবে। একদিন শুনতে গেলে কেমন হয়? শ্রেয়াকে সঙ্গে নিয়ে গেলে নিশ্চয় সে কিছু বলবে না।
শ্রেয়া বলল, ও তুমি যাও আমার সময় নেই।
রেগে ওঠে দিগন্ত, এত জেলাস হচ্ছ কেন বল তো? জানোই তো মধুর একটা গানের স্কুল আছে আর শুনেছি সে ভালই শেখায়।
-তাতে আমার কি শুনি?
-তোমার কিছু তো বটেই।
-মানে?
-আরে বাবা আমাদের মিঠু বড় হচ্ছে না? ওকে তো এবার গানের ইকুলে দিতেই হবে?
শ্রেয়া কতকটা বোঝার চেষ্টা করার জন্যে চুপ করে রইল। দিগন্ত বুঝিয়ে বলল, দেখ মিঠু বাচ্চা মেয়ে। দূরে গান শিখতে গেলে যতক্ষণ না ফিরছে ততক্ষণ তোমার চিন্তা থাকছে। আমি তো সারাদিন অফিসে থাকি। ছোটাছুটি তোমাকেই করতে হবে। আর মধুর ইস্কুল তো এই পাড়াতেই। তোমার কোনও চিন্তার কিছু থাকে না।
-বারবার ওই মধু মধু বল না তো। হাড় জ্বলে যায় একেবারে।
ধেঁতিয়ে উঠল শ্রেয়া। কিন্তু স্বামীর প্রস্তাব ফেলে দিতে পারল না একেবারে। মেয়ে বড় হচ্ছে। বিয়ের জন্যে হোক না হোক গান, আবৃত্তি এসব কিন্তু এখন ছেলেমেয়েদের ভবিষ্যৎ গঠনের জন্যেই লাগে।
স্বাগতর সঙ্গে বিরাট যে বন্ধুত্ব আছে দিগন্তর তা নয়। কিন্তু পরিচিতিও নেহাত কম নয়। ট্র্যাভেল এজেন্টের ব্যবস্থাপনায় কোনও এক ট্যুরে সে সপরিবারে গিয়ে পরিচয় হয়েছিল স্বাগতর সঙ্গে। সেখানে আলাপ যেমন তার সঙ্গে তেমনি তার বৌ মধুছন্দার সঙ্গেও। একেবারে নির্বাক হয়ে গিয়েছিল তাকে দেখে। এত সৌন্দর্য কোনও মেয়ের হয় সে ভাবতেই পারে নি। মধুছন্দা বিয়ের চার বছরেও মা হতে পারে নি। তাই হয়ত তার সৌন্দর্য দিব্বি অটুট রয়েছে। এ ধারণা দিগন্তর। ইস কেন যে তাড়াতাড়ি মা হয়ে গেল শ্রেয়া। পরক্ষণেই আবার ভাবল যতই পরে মা হোক না কেন মধুছন্দার মত রূপ তার কোনোদিন হতে পারত না। আসলে ভগবান তাকে এমন সুন্দর ছাঁচেই গড়েছেন।
তখন নিজের কৌতূহল আর আগ্রহেই স্বাগতর মোবাইল নম্বরটা নিয়েছিল সে। মাঝে মাঝে যে ফোন করার ইচ্ছে হয় নি তা নয়, হয়ত স্বাগত তার মোবাইল বিছানায় ফেলে বাথরুম বা অন্য কোথাও গেছে আর মধুছন্দা সেটা ধরে বলেছে, হ্যালো।
সেই সুরেলা মধুঝরা কন্ঠস্বর বেশ কিছুক্ষণ ধরে উপভোগ করবে দিগন্ত। হয়ত মধুছন্দা বারবার বলতে থাকবে, হ্যালো—হ্যালো- আপনি কে বলছেন না কেন? হ্যালো-
সে কথা কানে গেলেও মনে পৌঁছবে না দিগন্তের। কারণ সে তখন মধুছন্দার রিনি রিনি গলার সুরতরঙ্গে মোহিত হয়ে এক অন্য জগতে বিচরণ করছে। তবে এ পর্যন্ত কোনোদিন ফোন করা হয়ে ওঠেনি দিগন্তের। ভয় দুদিক থেকেই ছিল। শ্রেয়া জানতে পারলে এক্ষুণি কৈফিয়তের জাল বুনতে হবে তাকে। আবার দিগন্তকেই বা কি বলবে সে? ফোন করার কারণটা। আধারণ খোশ গল্প করার মত সহজ সম্পর্ক তো আজও গড়ে ওঠে নি দুজনের মধ্যে।
আজ একটা উপায় এসেছে। শ্রেয়া নিজেই যখন রাজি তখন ফোনটা করা যেতেই পারে। কিন্তু মধুছন্দার নিজের ফোন নম্বর জানা নেই আর ভরসা করে কোনোদিন চাইতেও পারে নি। শ্রেয়া অনুপস্থিত থাকলেও দিগন্তর সর্বদা যেন মনে হয় সে কটমট করে তাকিয়ে আছে তার দিকে।
অগত্যা ফোনে পাওয়া গেল স্বাগতকে। তার কাছ থেকেই অবশ্য ফোন নম্বর পাওয়া গেল মধুছন্দা বা দিগন্তর ‘মধু’র। উদ্দেশ্য বলতে স্বাগত সানন্দে দিল। বৌয়ের গানের টিউটোরিয়ালে ছাত্রছাত্রী ঢুকবে এ তো আনন্দের কথা।
একদিন অফিস থেকে একটু তাড়াতাড়ি ফিরে শ্রেয়াকে নিয়ে চলল দিগন্ত। মেয়েকেও সঙ্গে নেওয়া হয়েছে। বাইরের বড় ঘরে হারমোনিয়াম, এসরাজ, তানপুরা, তবলা এইসব যন্ত্রে ভরা। কিছু বিভিন্ন বয়েসের ছেলেমেয়ে অপেক্ষা করছে তাদের দিদিমনির জন্যে।
মধুর হেসে মধুছন্দা ঢুকল। দিগন্তকে কনুই দিয়ে ঠেলে শ্রেয়া এগিয়ে দিল নিজেকে।
--বৌদি ভাল আছেন?
-হ্যাঁ ভাই। আমি এসেছি-
- মিঠুকে গান শেখাতে তাই তো?
এই সবজান্তা মেয়েটিকে একদম সহ্য করতে পারে না শ্রেয়া। নেহাত স্বামীর কথায় তাকে আসতে হয়েছে। এরপর সে যা বলল তাতে তার জ্বলন চামড়া মাংস ফুঁড়ে হাড় পর্যন্ত জ্বালিয়ে দিল।
-চিন্তার কি আছে দিদি। ওর বাবার মতই মিষ্টি আপনার এই মেয়েটি। আমি ভাল করে শিখিয়ে দেব চিন্তা করবেন না।
জ্বলন্ত চোখে পেছন ফিরে দিগন্তর দিকে তাকাল শ্রেয়া। কিন্তু দিগন্ত তখন হাঁ হয়ে মধুছন্দাকে গিলছে। আঁচল ঢাকা দিয়ে তার খোলা হাতে একটা জোর চিমটি দিল সে। ককিয়ে উঠে সম্বিত ফিরে পেল দিগন্ত। অনুচ্চ গলায় তাকে বলল, তুমি চলে যেতে পার যা কথা বলার আমিই বলে নেব খ’ন।
মুখ কাঁচুমাচু করে সে পেছন ফিরে চলে যাবে এমন সময় সস্ত্রীক ঢুকল দিগন্তর আর এক বন্ধু প্রতাপ। তার মেয়ে রিয়াকে এনেছে গান শেখাতে। ওর বৌ শর্মিষ্ঠা স্বামীকে বলল, তুমি এগিয়ে গিয়ে কথা বলে নাও। আমি বরং একটু বসি।
মধুছন্দার সঙ্গে চোখাচুখি হল শর্মিষ্ঠার। মৃদু হাসির বিনিময় ঘটল। প্রতাপ মেয়েকে নিয়ে এগিয়ে গেল। কথাবার্তা বলতে লাগল মধুছন্দার সঙ্গে। এই সুযোগে দিগন্ত একটু সামনে যাওয়ার চেষ্টা করল। তার দৃষ্টি একভাবে মধুছন্দার দিকে নিবদ্ধ।
শ্রেয়া ফিরে এল কাজ সেরে। দিগন্তকে ধমকে বলল, আবার তুমি এগোচ্ছ কেন? সব কথা হয়ে গেছে। চল ওপাশে গিয়ে বসবে।
শর্মিষ্ঠার পাশে বসে ঘাম মুছল শ্রেয়া। জিজ্ঞেস করল, ভাল আছ তো?
-হ্যাঁ ভাই। তোমার ভায়ের কৃপায় ভাল আছি। আমাকে একটুও ঝামেলা আর কষ্ট দেবে না ছেলেটা।
-মেয়ের ব্যাপারে সব কথাটথা?
-সব প্রতাপ বলে নেবে। খুব ঠান্ডা মাথার ছেলে।
-কিন্তু এসব মেয়েদের ব্যাপার- আর ছেলেরা যা হ্যাংলা হয় না!
মৃদু হাসল শুধু শর্মিষ্ঠা। কিছু বলল না।
-কিন্তু তুমি এমন নিশ্চিন্ত হয়ে স্বামীটাকে ছেড়ে দিলে ওই রাক্ষুসসসীটার কাছে?
এবারেও কিছু বলল না শর্মিষ্ঠা।
দিগন্ত এখন বেশ কিছুটা সামনে প্রতাপের পাশে গিয়ে দাঁড়িয়েছে। যেন সে মেয়ের নাচের ব্যাপারেই আলোচনা করছে। আসলে সে হাঁ করে তাকিয়ে আছে মধুছন্দার মুখের দিকে। প্রতাপের সঙ্গে বাক্যালাপে মোধুছন্দার ঠোঁটের গতিবিধির চুলচেরা হিসেব রাখছে।
শেখানোর পর্ব শুরু হয়েছে। গার্জিয়ানেরা সব দূরে গিয়ে পাতা চেয়ারে অপেক্ষা করছে। প্রতাপ এসে বসেছে শর্মিষ্ঠার পাশে। কিন্তু দিগন্তও বসল শ্রেয়ার পাশে। কিন্তু তার স্থির দৃষ্টি মধুছন্দার ওপরেই নিবদ্ধ রইল।
ফেরার সময়ও প্রতাপ এগিয়ে গেল মেয়েকে আনার জন্যে। দিগন্তও যাচ্ছিল কিন্তু শ্রেয়া তার দিকে চোখ পাকিয়ে ঠোঁটে ঠোঁট চেপে বলল, তুমি যাচ্ছ কোথায়?
কথাটা বলে সে এগিয়ে গেল। মেয়েকে নিয়ে মধুছন্দাকে বিদায় জানিয়ে চলে এল।
প্রতাপ আর শর্মিষ্টা মেয়েকে নিয়ে অপেক্ষা করছে। হয়ত তাদের জন্যেই। যেতে গেলে এক রাস্তাতেই যেতে হবে। কিন্তু দিগন্ত কোথায়? দিগন্ত একটু এগিয়ে মধুছন্দার কাছ থেকে বোধহয় বিদায় চাইতে গিয়েছিল। মধুছন্দা চোখের ইঙ্গিত করে বলল, মেয়েকে ছেড়ে দিয়েছি তো? তবে-
অবাক হল দিগন্ত, তবে?
-আপনি কিছুক্ষণ থাকতে পারেন। ওয়াইফের যদি আমাকে তেমন পছন্দ না হয় তো-
ওদিকে দিগন্তর দিকে চোখ কট কট করে তাকিয়েই আছে শ্রেয়া। দিগন্ত ভয়ে ভয়ে বলল, একদিন নাহয়- আজ যাই কেমন?
শ্রেয়া তাকাল শর্মিষ্ঠার মুখের দিকে। কি শান্ত মুখ রে বাবা। স্বামীর বেহাত হয়ে যাবার ভয় নেই রাক্ষুসীটার কাছে? আর কি আশ্চর্য প্রতাপকে সে কিন্তু একবারের জন্যেও ডাকে নি বা চোখের কট কটানি দেখায় নি।
কিন্তু প্রতাপকে তো একটা বারের জন্যেও গরম চোখ দেখায় নি শর্মিষ্ঠা?
No comments:
Post a Comment