জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়ের কবিতা--
সুখ
পান্তার গামলায় হাঁটু জলে কুচো মাছের মতো
ভাতসুদ্ধ হাত মুখের ভেতরে দিয়ে যে চাষির স্বর্গসুখ
আদরমাখা ডুরে শাড়ির আঁচলে পিঠের ঘাম মুছিয়ে দেয়
যার বৌ পরিপাটি জীবনের অভিনয়ে সে সুখের ছিটেফোঁটা নেই।
ছেলের অসুখের প্রতিকার আর মেয়ের বিয়ের ক্লিন্ন পরিকল্পনায়
ওদের চোখের আলো ভোরের আলট্রা ভায়োলেটের চেয়ে ঢের দামি।
ওই ঘামগন্ধ গামছা জড়িয়ে রোপনকৌশল বা পশুপালন শিখে নিতে
চাই কচ হয়ে ওর প্রতিদিন মরেও বেঁচে ওঠার সঞ্জিবনী মন্ত্র শিখে নেবো।
ওকে গুরু শুক্রাচার্য মেনে নিতে মুহূর্তমাত্র দ্বিধা রাখবো না।
মেষপালকের বিরহযন্ত্রণা মেখে দূর গ্রামের ধু ধু মাঠে তাঁবু পেতে
বেদুইন হওয়ার বাসনা খুব ডাকে।
ছেড়ে যাওয়া মুখ ও মুখোশ ক্ষণেক্ষণে বরফের ছুরি
বিক্ষত বুক ও মস্তিষ্কের মরানদী বালিঝরা জলের
উপমায় রক্ত নামে প্রকৃতির পাণ্ডুলিপি জুড়ে।
এত ভাবি তবু স্বপ্ন ছাড়া সে সুখের নাগাল পেলাম না।
No comments:
Post a Comment